Jumjournal Logo

Search

Menu

চিত্রশিল্পী চুনিলাল দেওয়ানের সংক্ষিপ্ত জীবনী

Jumjournal

Last updated May 25th, 2025

115

featured image

চিত্র শিল্পী চুনিলাল দেওয়ানের জন্ম ৩রা ফেব্রুয়ারী ১৯১১ ইংরেজী (২০ শে মাঘ, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ) । তার পৈত্রিক কর্মস্থল পার্বত্য চট্টগ্রামের দীঘিনালায়৷ তাঁর পিতার নাম শশী কুমার দেওয়ান৷ মাতার নাম নয়নতারা দেওয়ান । 

চুনিলাল দেওয়ান মলিমা গোজা, ধাবানা গোষ্ঠির লোক। কালিন্দী রাণীর রাজত্বের অবসানের সাথে সাথে ধাবানা গোষ্ঠির রাজ্বত্বকাল (১৬৪০-১৮৭৪ খ্রি:) শেষ হয়। চুনিলাল দেওয়ান এই মলিমা গোজা ধাবানা গোষ্ঠির ১৬ তম প্রজন্মের। চুনিলালের পিতার ১ম স্ত্রী নয়ন তারা দেওয়ানের ঔরসে সন্তান হচ্ছে প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, পান্না লাল দেওয়ান এবং চুনিলাল দেওয়ান৷ ১মা স্ত্রীর বিয়োগের পর শশী কুমার দেওয়ান বিশ্বলতাকে বিয়ে করেন৷ বিশ্বলতার ঔরসে ৪ সন্তান: সরোজ কুমারী, অমরাবতী, হীরা লাল ও মানিক লাল জন্ম লাভ করে। তারা সবাই প্রয়াত। 

বাল্য জীবন/শিক্ষাজীবন:

চুনিলালের বাল্য জীবন কিভাবে কেটেছে অজানা। তার পিতা যেহেতু সরকারী চাকুরীজীবি, চাকুরীজীবি ছেলেদের জীবন যে রকম হয়, তাঁরও সে রকম হতে পারে। চুনিলাল শৈশবে মাতৃহারা হয়ে জনৈকা ধাত্রীর দ্বারা লালিত হন। ভাইদের মত চুনিলালও লেখাপড়ায় বেশ ভালো। তাঁর বড়ভাই প্রতুল দেওয়ান তখনকার দিনে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স পর্যন্ত পড়েছিলেন। তিনি ২ মৌজার হেডম্যান, বিত্তমান ও প্রভাবশালী ছিলেন। রাজা নলীনাক্ষ রায়ের বোন সুষমা বালার সাথে তার বিয়ে হয় । পান্না লাল দেওয়ান নানিয়ারচর এম.ই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রাখেন। তিনিও বিত্তবান ও প্রভাবশালী ছিলেন। হীরা লাল দেওয়ান ডা: হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। তার সুযোগ্য পুত্র ডা: রুপম দেওয়ান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় স্বর্ণপদক প্রাপ্তিসহ খুবই সুপরিচিতি এবং সুনাম অর্জন করেছেন। শিল্পী চুনিলাল ২ টি মৌজার হেডম্যান ও একটি বাজারের বাজার চৌধুরী ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন । তাঁর প্রথমা স্ত্রী চারুবালার ঔরসে রঞ্জিত কুমার দেওয়ান (সুপরিচিত লেখক) ও তড়িৎ কুমার দেওয়ান। উভয়েই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রথম স্ত্রীর বিয়োগের পর চুনিলাল দেওয়ানের ২য় স্ত্রী বসুন্ধরার ঔরসে দেবী প্রসাদ দেওয়ান (নান্যাচর বাজার চৌধুরী), সত্যপ্রসাদ দেওয়ান (৬০ নং ছয়কুড়ি মৌজার হেডম্যান), নীতিপ্রসাদ দেওয়ান এবং গৌরিকা দেওয়ান (প্রয়াত)। সবাই সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। বসুন্ধরা দেওয়ান বিদুষী, বুদ্ধিমতী এবং নির্ভিকবাদী ছিলেন। বসুন্ধরা দেওয়ান নামেই তিনি বেশী পরিচিত। তাঁর বিভিন্ন কীর্তির জন্য তিনি প্রচুর খ্যাতি ও পরিচিতি লাভ করেন। ২০০৭ সনে ঢাকায় আদিবাসী

সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন। “কর্ণফুলী কান্না”-র তিনি মূল সূত্রাকারী । ১৯১১ সনে আদিবাসী ফোরাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা তাঁকে মরনোত্তর সম্মাননা পদক দিয়ে ভূষিত করে।

চুনিলাল দেওয়ান , চুনীলাল দেওয়ান
চুনিলাল দেওয়ান

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা:

চিত্রশিল্পী চুনিলালের নিবাস চেঙ্গী বড়াদম, ৬১নং মাইছছড়ি মৌজা, থানা ও উপজেলা- নান্যাচর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। তিনি নান্যাচর এম.ই স্কুলে শিক্ষা শুরু করেন। তারপরে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নের পর তাঁর শিক্ষা সমাপ্তি ঘটে।

চিত্রাংকন ও ভাষ্কর্য শিক্ষা:

ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, গান গাওয়া, বাদ্যযন্ত্র বাজানো তাঁর আগ্রহ৷ তৎসময়ে দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থা ও অন্যান্য বাধা বিপত্তির মধ্যেও মাত্র ২০০ টাকা পড়াশুনা খরচ নিয়ে কলকাতায় ১৯২৮ সনে কলকাতা আর্টস স্কুলে ভর্তি হন। দীর্ঘ ছয় বৎসর অধ্যয়ন করে ১৯৩৪ সনে আর্ট এন্ড ক্রাপ্ট কমার্শিয়াল বিভাগে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি উক্ত সময়ে ভাস্কর কাজেও দক্ষতা লাভ করেন।

শিক্ষকতা:

১৯৪৬ সনে চুনিলাল রাঙ্গামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাসিক ৮০ টাকা বেতনে ড্রইং শিক্ষক নিযুক্ত হন এবং মাত্র ২ বৎসর এ পদে তিনি বহাল ছিলেন৷

সম্মানলাভ:

১৯৪৬ সনে রাঙ্গামাটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করে চুনিলাল ১ম পুরস্কার হিসাবে পদক লাভ করেন। পদকটি সংরক্ষিত আছে। কাঠের খোদায় করা ১টি মাসুম শিশু ও মায়ের কংকালসার দৃশ্য সংরক্ষিত আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা পরিষদ থেকে সংস্কৃতি চিত্র শিল্পী হিসাবে অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা ২০০১ কৃতিব্যক্তি হিসাবে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয় (১৬ জুন, ২০০১ সন)। 

সম্মাননা :

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক চিত্রশিল্পী হিসাবে “মরনোত্তর সম্মাননা/২০০১) সনদ ও পদক লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, পাহাড়-নদী, বৈচিত্রময় চিত্র অংকন করে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত চিত্র-প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহন করেন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগন তাঁকে সম্মান সূচক সনদ প্রদান করেন। শিল্পী চুনিলাল দেওয়ানকে তৎকালে তাঁর শিল্পকর্মের প্রশংসাপত্র দিয়েছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ডিসি (২ মে, ১৯৩১ সন), কুমিল্লার কমিশনার (১৫ মে, ১৯৪৪), পার্বত্য চট্টগ্রামের ডিসি লে. কর্নেল জে. এ. হিউম (৪ নভেম্বর, ১৯৫২ সন) এবং আরো অনেকে তাঁর চিত্রকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর চিত্র কর্ম চালিয়ে যান এবং যথেষ্ট সম্মান, সুনাম ও প্রশংসা লাভ করেন।

সংরক্ষিত ছবি ও ভাস্কর্য:

তাঁর ভাস্কর্য-কর্মের নিদর্শন হিসাবে নানিয়ারচরে খুল্যাংপারার বৌদ্ধ বিহারে তিনটি বুদ্ধমূর্তি রয়েছে। কাপ্তাই পানি আসায় মূর্তিগুলি অন্যত্র সরানো হয়েছে৷ তিনি চিত্রাংকন এবং ভাস্কর্য ছাড়াও গান, কবিতা লিখতেন, গান গাইতেন, গানের সুর দিতেন। তিনি হারমোনিয়াম, পিয়ানো, বাঁশী, সেতারা বাজানোতে দক্ষ ছিলেন। সেতারা বাজিয়ে তিনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোরঞ্জন করেছিলেন বলে শুনা যায়। তিনি নিজ গ্রাম চেঙ্গী বড়াদমে চিত্রকর্ম, গান, কবিতা ও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর চর্চায় লিপ্ত ছিলেন। তাঁর চিত্র কর্মে, গানে ও কবিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী আদিবাসীদের জীবন যাত্রা, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী এবং বৈচিত্রময় দৃশ্য ফুটে উঠেছে আর আঁকা ছবি নিয়ে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও ঢাকায় বিভিন্ন প্রদর্শনীতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য অর্জন এবং তিনি শিল্পী রসিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সমর্থ হন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁর সাথে তিনি যৌথভাবে বিখ্যাত “জলপ্রপাত” ছবিটি অংকন করেন।

চিত্র শিল্পীর ভাস্কর্য হিসাবে নান্যাচর খুল্যাংপাড়া বৌদ্ধ বিহারে তাঁর ৩ টি বুদ্ধমূর্তির নিদর্শন রয়েছে। (কাপ্তাই হ্রদের পানি উঠার কারনে বড়াদম বৌদ্ধ বিহার থেকে তথায় স্থানান্তর করা হয়েছিল)। বর্তমানে তাঁর অংকিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং নিজের ছবি, রাঙ্গামাটি পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং, কেবল কৃষ্ণ খীসার ছবি, পাহাড়ী আদিবাসীদের বৈচিত্রময় জীবন ধারনের দৃশ্য এবং পাহাড়, নদ-নালার কিছু সংখ্যক ছবি সংরক্ষিত আছে।

লেখা প্রকাশনা :

তিনিই চাকমা আধুনিক কবিতার প্রথম লেখক। প্রকাশনা সাহিত্যাঙ্গনের ৯ম প্রকাশনা দেবী প্রসাদ দেওয়ানের প্রকাশনায় এবং তৎকালীন রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের প্রফেসর নন্দলাল শর্মার সম্পাদনায় চিত্রশিল্পী চুনিলাল দেওয়ানের “নিবেদন” নামে একটি সংকলন ৩২ টি গান ও কবিতা প্রকাশ করা হয়। অপ্রকাশিত আরও গান ও কবিতা সংরক্ষিত আছে। চুনিলালের কবিতা ও গানের প্রতি আসক্তি ছিল। তাঁর লেখা ৩২ টি গান অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা কর্তৃক সম্পাদিত “নিবেদন” নামে জানুয়ারি ১৯৮০ সালে রাঙ্গামাটিতে (সরোজ আর্টস প্রেস থেকে দেবী প্রসাদ দেওয়ান কর্তৃক) প্রকাশিত হয়। গানগুলির নামকরন তিনি নিজেই করেছেন এবং প্রতিটি গানের নিচে রচনার তারিখও লিপিবদ্ধ করেছেন। নিজের লেখা অনেক গানে তিনি সুরারোপ করেছিলেন। তাঁর অপ্রকাশিত ৫টি গান ও কবিতা রয়েছে। যতটুকু জানা যায় চুনিলাল দেওয়ানই চাকমা ভাষায় প্রথম আধুনিক কবিতা

রচনা করেন। তাঁর লেখা একমাত্র “চাকমা কবিতা” ১৩৫৩ বঙ্গাব্দের (১৯৪৫ ইং) “গৈরিকা”-য় (১১শ বর্ষ ১২শ সংখ্যা) প্রকাশিত হয়। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত বাংলা হরফে মুদ্রিত চাকমা ভাষায় লেখা প্রথম আধুনিক এ কবিতাটির রাজমাতা (তৎকালে রানী) বিণীতা রায় বঙ্গানুবাদও কবিতাটির পাশাপাশি ছাপানো হয়েছিল।

ব্যক্তিজীবন:

চুনিলাল অত্যন্ত মিতব্যয়ী, কথা ও আচরনে সংযমী এবং স্বাধীন মনোবৃত্তি সম্পন্ন ছিলেন। জানা যায় কলকাতায় পড়াশুনার শেষে তিনি ২০ টাকা ফেরত নিয়ে আসেন। সাধারণের সাথে অতি সাধারণ বিষয়ে আলোচনায় নিজেকে জড়াতেন না। তার মধ্যে কখনো চঞ্চলতা দেখা যেতনা। তবে তাঁর শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে ব্যালেন্স করে চলতেন। ১৯২৭ সনে গভর্মেন্ট স্কুল অব আর্টস, চৌরঙ্গী, কলকাতা-তে ১ম বর্ষে ভর্তি হয়ে তিনি টুঙ্গী, বৌবাজারে (এখন বিজন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিট) একটি মেসে থাকতেন। এস্রাজ বাজিয়ে বাজিয়ে তাঁর অঙ্কিত ছবিগুলির ভুলত্রুটি চেক করতেন। তিনি চিত্রকলাকে উপার্জনের পেশা হিসাবে গ্রহন পছন্দ করতেন না। পার্বত্য চট্টগ্রামের (মাতৃভূমির) প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য আঁকার জন্যই তিনি চিত্র শিল্পকে গ্রহন করেছিলেন। কলকাতায় মহাবোধি সোসাইটির ভিক্ষু উত্তমের সাথে চিত্রকলা নিয়ে তাঁর আলোচনা হতো। ভিক্ষু উত্তম চিত্রকলাকে শিক্ষার বিষয় হিসাবে উর্ধ্বে স্থান দিতেন। জেনারেল লাইনে যারা পড়তো তাদেরকে বিদ্রুপ করে ব্রিটিশ সরকারের মেশিনের অয়েলিং ইনস্ট্রুমেন্ট বলতেন। খরচ করে নানা দেশ দেখা ছিল চুনিলালের প্রকৃতি বিরুদ্ধ। তবুও তাঁর কলকাতার সহপাঠী বন্ধু অমরেন্দ্র রায়ের সাথে জোর করে স্টাডি করার জন্য উত্তর প্রদেশ ও বিহারে ল্যান্ডস্কেপ করার জন্য ১৯৩০ সালে গিয়েছিলেন। বেনারসের গঙ্গার উভয় পার থেকে চার্চের ছাদ ও তার সাথে অশোক স্তম্ভ অয়েল স্কেচ্ দিয়ে দুজনেই অয়েল কালারে ছবি এঁকেছিলেন। natural scenery, human natural figure অর্থাৎ Western Painting আঁকতে তিনি বেশী আগ্রহী ছিলেন)। তাঁদের প্রিন্সিপাল ছিল কবিগুরুর ছাত্র। কবি Indian style ছবি আঁকা পছন্দ করতেন এবং ছাত্রদের তা করতে বলতেন। অনেকে তা গ্রহনও করেছিলেন। কিন্তু চুনিলাল Western Painting এর পক্ষপাতি হয়ে রইলেন। তৎকালে স্কুলে সে যুগের মহাপুরুষদের হতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্ৰ রায়, জগদীশ চন্দ্র বসু সেসব ছাত্রদের প্রায় মতভেদ দেখা যেত। কিন্তু চুনিলাল সব সময় নিজের মত নিয়ে থাকতেন, কোন অবস্থায় নিজ মত থেকে অন্যত্র সরে যেতেন না।

Chunilal Dewan and his mate of Art college including Zainul Abedin
চুনীলাল দেওয়ান (ছবির ১ম সারির বাম দিক থেকে তৃতীয়) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনসহ কোলকাতা আর্ট কলেজের প্রাঙ্গণে, ছবিঃ জ্যোতি চাকমার নিজস্ব সংগ্রহ

মৃত্যু:

১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি খরচে যুক্তরাজ্য যাওয়ার প্রস্তুতি করা হয়। কিন্তু তাঁরই বাড়ীর পার্শ্বে তাঁর পরম শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত পিতাম্বর খীসার সাপ্তাহিক (শ্রাদ্ধ) ক্রিয়ার ভোজ অনুষ্ঠানে খাদ্যে (পায়েসে) বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৮ই ডিসেম্বর ১৯৫৫ই সকাল ৮.৪৫ মিনিট সময়ে নিজ বাড়ীতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর অল্প কয়েকটি মাত্র এখন তাঁর শিল্প প্রতিভার নীরব সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। আর অধিকাংশই নানাভাবে হারিয়ে গেছে- যেমন করে কবি, গীতিকার, শিল্পী চুনিলাল দেওয়ানও অবজ্ঞা ও অবহেলায় হারিয়ে গেলেন একদিন। নির্জনতা বিলাসী চুনিলাল উপযুক্ত প্রচার মাধ্যম না পাওয়াতে আপন প্রতিভা বিকাশের সুযোগ লাভ করতে পারেননি।

লেখকঃ শ্রী প্রমোদ বিকাশ কার্বারী

©তথ্য উৎস: 

দেবীপ্রসাদ দেওয়ান

অমরেন্দ্রনাথ রায়

রেগা প্রকাশনী 

সম্পাদনায়: 

দেবীপ্রসাদ দেওয়ান

ইন্টুমনি তালুকদার

আরও জানতে পড়ুন –

প্রসঙ্গ:চুনিলাল দেওয়ান, চূনীলাল দেওয়ান

জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।

আরও কিছু লেখা

চিত্রশিল্পী চুনিলাল দেওয়ানের সংক্ষিপ্ত জীবনী