চিন্তাভাবনাঃ সাজেকের ট্যুরিজম

Sayak Chakma
Last updated Dec 9th, 2020

1227

featured image


মূল লেখাটা ইতিমধ্যে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুকে পোস্ট করায় অনেকে পড়েছেন। তাদের প্রতি সম্মানার্থে মূল অংশের কোনো পরিবর্তন বা পরিমার্জন ছাড়াই তুলে দেওয়া গেল।

আমি ভাবছিলাম অনেক লম্বা প্রবন্ধ লিখব। শিরোনাম সায়েন্স এন্ড ইকোনমি অব সাজেক’স ট্যুরিজম।

তবে এই চিন্তা বাদ দিসি।

সাজেকে রিসোর্ট খুলনেওয়ালাদের মাঝে আছে বিভিন্ন ট্যুরিজম গ্রুপ- এতে শেয়াহোল্ডার র্যান্ডম বাঙালি, জায়গা ইজারা নিয়ে রিসোর্ট খোলা ব্যবসায়ী, পাহাড়ের স্থানীয় রাজনৈতিক দলের বিপ্লবী ও অবিপ্লবী নেতা, স্থানীয় ব্যবসায়ী, পাহাড়ি মানবাধিকার কর্মী প্রমুখ।

কারে না কারে চেতায়ে দিই ঠিক নাই।

নিরাপত্তা বাহিনীও সেখানে নিরাপত্তা প্রদানে উদয়াস্ত, উদরাস্ত এবং উদরান্ত পরিশ্রম করছে। তাদের পরিশ্রমানুভূতিতেও আঘাত দিতে চাই না।

তো, সাজেকে ট্যুরিজম ব্যবসার শুরুতে ট্যাগলাইন ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বেশ ক’ বছর এই ট্যাগকে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করে সাজেকে ট্যুরিজমকে একটা হাউজহোল্ড নেইম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

যার কারণে আজ জাতীয় পর্যায়ে পপ (পপুলার) কালচারে সাজেক অন্তর্গত।

আজকাল সাজেক না গেলে জাতে উঠা অসম্ভব এবং সাজেক না গেলে তারা ট্র্যাভেলারের জাতেই পড়েন না।

সাজেকে ট্যুরিস্ট টেনে আনা হয়েছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, উৎসাহী ট্যুরিস্ট, পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে।

সাজেক নিয়ে উন্মাদনার শুরুর দিকে মনে আছে। আমার সাথে চা বিড়ির সম্পর্ক হয়ে উঠা মাত্রই মানুষ জিজ্ঞাসা করত। সাজেকটা কোন জায়গায়। খাগড়াছড়ি না রাঙামাটিতে।

যদি চিন্তা করেন একটা জায়গায় ঘুরতে যাওয়া উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং মানুষ উৎসাহিতও হচ্ছে। অথচ মানুষ জানেই না এটা কোন জেলায়।

এই ফ্যাকচুয়াল ইগনোরেন্সের তোড়ে মানুষ জানে না সাজেকের ইতিহাস, সাজেকে আদৌ কারা বাস করত, সাজেকে একসময় পাহাড়িদের গ্রাম পুড়েছিল, মানুষ এটাও জানে না সাজেকের স্থানীয়রা বর্ডার পার হয়ে ভারত চলে যাচ্ছে।

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সাজেক এরিয়াতেই প্রতি বছর খাদ্যসঙ্কট হয়, সারা বছরই সুপেয় পানির অভাব থাকে। যা অদ্যাবধি চলমান।

যদিও সবার ধারণা ট্যুরিজম এবং ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির বয়ে আনা উন্নয়ন স্থানীয়দের অনেক উন্নতি বয়ে আনে।

আমরা জানি প্রকৃতির রিসোর্সগুলা তেল গ্যাসের মত তুলে হজম করা যায় না। তবে দ্রুত গতিতে অবকাঠামো গড়ে তুলতে গেলে এই রিসোর্সে টান পড়তে বাধ্য।

সাজেকে ট্যুরিস্টদের ঢল অনুযায়ী প্রচুর কটেজ, রিসোর্ট, বিল্ডিং ইত্যাদি তৈরি হয়ে আসছে।

পাহাড়ি অঞ্চলে সব গাড়ি চলতে পারে না। কিন্তু সাজেকের রাস্তাগুলা এমনভাবেই তৈরি যাতে মোটামুটি সব গাড়িই নিয়ে আসা সম্ভব। এর বিনিয়োগ আসতে থাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে।

কটেজ বা বিল্ডিং তৈরির জন্য সবুজ সাফ হয়, পাহাড়ের উঁচু নিচু অংশ সমান করা হয়, নির্মাণ সামগ্রী আশেপাশে পড়ে থেকে পরিবেশটাকে নষ্ট করে।

ছবিঃইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

এর সাথে সাথে মাটিতে হয় কংক্রিটের রাস্তা। সার্বিকভাবে কার্বন ফুটপ্রিন্টের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তিত হতে থাকে।

সাজেক নিয়ে অনেক ট্যুর গ্রুপ হা হুতাশ করে। সাজেকে প্লাস্টিক, বর্জ্য, নোংরা, ঘিঞ্জি ইত্যাদি অভিযোগ।

অথচ এই ট্যুর গ্রুপগুলাই প্রতিমাসের ছুটিগুলোকে টার্গেট করে গাদা গাদা ট্যুরিস্ট নিয়ে যায়। যত ট্যুরিস্ট তত প্রফিট।

এই ট্যুর গ্রুপগুলা যেহেতু বহিরাগত, সেজন্য তারা স্থানীয়দের নিয়ে উদাস।

অবকাঠামোর উন্নয়ন জীবনমানের উন্নয়ন বয়ে আনে না। অবকাঠামোর অর্থনৈতিক লাভের বড় অংশ বিনিয়োগকারীদের হাতে যায়।

আমাজন প্রাইমের রিনিউএবল একাউন্ট যে বেচে তার কামাই আর জেফ বেজোসের কামাইয়ের কথা চিন্তা করেন।

স্থানীয় লোকেরা যাদের অর্থবিত্ত, পুঁজি বা প্রভাব নাই তাদের জন্য বরাদ্দ হয় অল্প কিছু অর্থ যেগুলা আবার তাদেরকে ছোটখাটো সার্ভিস প্রদানপূর্বক নিতে হয়।

সাজেকের অবকাঠামোগুলা শুরুতে ছিল রিক্রিয়েশনাল বা অবকাশযাপনের জন্য। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের এক্টিং এক্সপ্রেশনের মত এখনও তাই আছে, চেঞ্জ হয় নাই।

এখানকার স্থানীয়দের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো অদৃশ্য। ওখানে পর্যাপ্ত শিক্ষা, চিকিৎসা এসবের কি কোনো দরকার নাই?

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ট্যুরিস্ট আর হোস্ট কমিউনিটির মাঝে সম্পর্কটা কেবলই অর্থনৈতিক হওয়াটা সমস্যার। সেই কারণে ট্যুরিস্টরা একটা অলিখিত ইমপিউনিটি পেয়ে যান।

তারা যা খুশি করে বসলেও কেউ কিছু বলবে না। এমনটা তাদের মানসিকতা হয়ে দাঁড়ায়।

এই মানসিকতা আমাদের স্টেট সিস্টেমই ধারণ করে। স্টেট মাল্টিকালচারকে সমতার ভিত্তিতে প্রমোট করে না।

এথনিক আইডেন্টিটিকে স্বীকার করতে অনিহা প্রকাশ করে।
করোনাকালীন সময়ে মাসছয়েক সাজেক বন্ধ ছিল।

করোনার প্রকোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ। কিন্তু কেন জানি পর্যটনের স্থানে কোনো করোনা নাই। যার কারনে সাজেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ পর্যটক পৌছাচ্ছে।

গত কয়েক বছরে আমার ফ্রেন্ডলিস্টের বন্ধু, শত্রু, ক্লাসমেট, ব্যাচমেট, বড়, ছোট, বামপন্থী, ডানপন্থী, বিপ্লবী, অবিপ্লবী, এনজিওবাদী, মানবতাবাদী আর যারা আমার বন্ধুও না শত্রুও না যেমন বাপ মা আত্মীয়স্বজন সবাই সাজেক থেকে একবার হলেও ঘুরে এসেছে।

এই করোনা কালে ছুটি পেয়ে সাজেকে ট্যুরিস্টের ঢল আরো বেড়েছে। দিন দিন আরো বাড়বে। করোনার কথা বাদই দেন।

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সাজেকে (এবং পাহাড়ের কিছু স্টেট-স্পন্সরড স্পটে) এমন একটা সিস্টেম দাঁড়া আছে যা সেখানকার ট্যুরিস্টদেরকে ইচ্ছামত ড্রাগস সেবন আর অবিবাহিত যুগলদের ভ্রমণের ইচ্ছাকে তুষ্ট করে ।

বলা যায় এখানে অলিখিত লিগ্যালাইজেশন এবং ইমপিউনিটি প্রদত্ত হয়৷ যা কি না আবার আমাদের রক্ষণশীল দেশটার খুব কম ট্যুরিস্ট স্পটেই দেখা গিয়ে থাকে।

আগের প্যারা পড়ে সাজেকে দৌড় দেওয়ার আগে একটা জিনিস জেনে নিই।

প্রকৃতিকে এক্সস্ট করে ফেলতে থাকার কারণে প্রকৃতি দেখায়ে সাজেকের ব্যবসা খুব বেশিদিন চলবে না।

সাজেকে রঙিন কটেজগুলার জন্য সবুজ যখন নাই হয়ে যাবে তখন আস্তেধীরে সূর্যোদয়টাও ঘোলা ঘোলা লাগবে।

তবে উক্ত সিস্টেমটা চলমান থাকবে। অবকাঠামোয় যাদের বিনিয়োগ আছে তারা ব্যবসা গুটায়ে চলে যাবে নাকি ডিমান্ড অনুযায়ী ব্যবসা করবে? ব্রাদার আস্কড আ গুড কোশ্চেন।

সেই মানুষগুলাও সাজেকে আসেন, যাদের মনে প্রাণে অনেক ভালোবাসা কিন্তু ভালোবাসার মানুষ নাই। সাজেকে এক্সোটিক নৃগোষ্ঠীর সুন্দরী তারা খুঁজেন না তা বলা মুশকিল।

সাজেকের স্থানীয়দের কেবলমাত্র সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে গ্রুম করে আসা হচ্ছে। পর্যটকদের কিছু বিনোদন দিলে কিছু অর্থ বা সুবিধা প্রাপ্তি হয়।

সাজেকের রাস্তায় ছোট ছোট শিশুরা দাঁড়িয়ে থাকে। হাত নাড়ে। টাটা দেয়। সভ্য ট্যুরিস্টরা এদের নাকি তখন চকলেট ছুঁড়ে দেয়।

এই শিশুগুলা স্কুলে পড়াশোনা বা খেলাধুলা না করে এই কাজগুলা কেন করে, সভ্য ট্যুরিস্টদের মাথায় এসব আসে না।

কারণ ঐ যে, ফ্যাকচুয়াল ইগনোরেন্স। একই সাথে মেয়েশিশুরা হয়ত ছোট টং দোকানে কাজ করে।

এদের নিয়ে ট্যুরিস্টরা ঠাট্টা মশকরা করে। আকারে ইঙ্গিতে বাজে অঙ্গভঙ্গি করে৷ ছবি তোলে। আবার ঢাকা শহরে এসে ওয়াইফাই পাওয়া মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে পোস্টও দেয় যৌন সুড়সুড়ি দিয়ে।

পার্বত্য অঞ্চলকে আবদ্ধ করে এবং তথাকথিত উন্নয়নমূলক অবকাঠামো স্থাপন করে দিয়ে সেটাকে একটা পশ্চাৎপদ ভূমি এবং সেখানকার অধিবাসীদের নিম্নবর্গ হিসেবে পপ কালচারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এখন নিম্নবর্গের লোকজনের উপর বিকৃত মানসিকতা আর কুৎসিত কল্পনা আরোপ করা খুব সহজ।

ঠিক যে কাজটাই হয়ে আসছে। এ কথা কেউ তোলেন না, যে ট্যুরিস্টরা গিয়ে কেন স্থানীয়দের পবিত্র জায়গাকে অসম্মান করে, ছবি তুলতে ঘরবাড়িতে ঢুকে যায়, পাহাড়ি নারী দেখলেই কেন তারা বাজে ইঙ্গিত করে৷

সাজেক কিংবা স্টেট কন্ট্রোলড+স্পন্সরড ট্যুরিস্ট স্পটগুলো হোস্ট/লোকাল কমিউনিটির সাথে ট্যুরিস্টদের যথাযথ মিথস্ক্রিয়া তৈরি করে না।

এখানে সিস্টেমেটিক জাতীয়তাবাদী রেসিজমের জন্য স্থানীয় পাহাড়িদের গুণ্ডায়িত (ভিলিফাইড) করা হয়৷

অনেককেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি যারা পাহাড়ি অঞ্চলে প্রতি সিজনে ঘুরেফিরে চমৎকার সব অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা তাদের মারেও না কাটেও না।

কিন্তু তারা প্রায়ই ইস্যুভিত্তিক লেখাতে তুলে ধরেন যে পাহাড়িরা দেশদ্রোহী উপজাতি এবং তারা কোনো রকম ব্যাংকিং সিস্টেম ছাড়াই হাওয়া থেকে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করে কালই এই দেশ ভেঙে কাঁথা বালিশ নিয়ে আলাদা হয়ে চলে যাচ্ছে।

তথ্যের উৎস চাইলে তারা আবার খুব দুঃখ পান এবং সপরিবারে দুচারটা রাগান্বিত কমেন্ট দিয়ে কিছুদিন পরে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করে দেন৷

পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, (আধিপত্যবাদ) এবং জাতীয়তাবাদ এর ককটেইল (শেইকেন নট স্টিয়ারড) এর জন্য পাহাড়িদের উপর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবিচার কখনো থামবে না।

এই অবিচারেরই একটা অংশ সাজেকের মত মডেল ট্যুরিজম। যেখানে একদিকে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় জনগণের ডিগনিটিকে দিনে দিনে নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

এক লাইন বাদ পড়েছে। তা হল সাজেক মডেলের ট্যুরিজম সিস্টেম সাসটেইনেবল না, এটা স্বল্পস্থায়ী; এবং স্থানীয়দের অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে এমপাওয়ার করে না, বরং তাদের প্রতি মেইনস্ট্রিমের তীর্যক দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করে তোলে।

এর পক্ষ যারা নেন তারা অবশ্যই স্টেইকহোল্ডার হিসেবে টাকায় বা জাতীয়তাবাদে পেমেন্ট নিয়ে থাকেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে এসব কথাই আমি আমার প্রবন্ধটায় লিখে কোনো বড় বড় পত্রিকায় ছাপতে দিতাম।

লেখার জন্য আমি যে টাকা পাইতাম সেই টাকাকে কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির নামে কোথাও পাঠাইলে হয়ত আমি যে ফেইল করসি সেই রেজাল্টটা এতদিনে চলেও আসত।

উল্লেখ্য, অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক এড়াতে আমি আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবেও উল্লেখ করি নি।

এবং অনেক ইংরেজি টার্ম ব্যবহার করেছি, সেগুলা পন্ডিতি দেখানোর জন্য না বরং এগুলার বাংলা আমার জানা নাই। প্লাস লেখাটাও ভারি হইল।

তবে এসব লেখায় রিচ নাই। মানুষ দুষ্ট বলে। কেউ কেউ দেখতেও পারে না৷ প্রেমিকা, গাছপালার ছবি কিংবা কমিউনিস্ট মীম শেয়ার দিলেও আজকাল দেখি লাইক কমেন্ট খুবই কম ।

ফ্যান ফলোয়ার হারায় ফেলার এই ভয়ে মূলত আমি এসব বিতর্কিত জিনিস লিখা বাদ দিয়েছি। লেখাটা সেজন্যই গত দুইদিন ধরে লিখব লিখব ভেবে আর লিখলাম না।

*বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই লেখাটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে লেখা। ফেসবুকে স্ট্যাটাস আকারে পোস্ট করার কারণে কিছু ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। শ্লেষাত্মক, ব্যঙ্গাত্মক আর কিছু পপ কালচার রেফারেন্সও রয়েছে। আমার অপরিপক্কতার কারণে এটা কোনোরকম জ্ঞানগর্ভ লেখাও নয়। যে কোনো রকমের সমালোচনা গ্রহণের জন্য আমি প্রস্তুত।
এই লেখায় কেউ দুঃখিত, ব্যথিত, আহত কিংবা মর্মাহত হয়ে থাকলে জেনে রাখবেন আমিও আপনার জন্য সমব্যথী।



জুমজার্নালে প্রকাশিত লেখাসমূহে তথ্যমূলক ভুল-ভ্রান্তি থেকে যেতে পারে অথবা যেকোন লেখার সাথে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে। আপনার মতামত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনিও লিখুন অথবা লেখা পাঠান। লেখা পাঠাতে কিংবা যেকোন ধরনের প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন - jumjournal@gmail.com এই ঠিকানায়।

আরও কিছু লেখা